ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থপাচার এবং রাজস্ব আদায়ের নীতিমালা সংক্রান্ত প্রতিবেদন সময়মতো দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারলেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
হাইকোর্ট বলেছেন, "নোটিশ জারির পরেও তারা (বিএফআইইউ ও এনবিআর) রেস্পন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেব।"
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, "ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলে বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করবো না।"
এর আগে পৃথক তিনটি রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের নিকট থেকে কী পরিমাণ টাকা গ্রহণ করেছে এবং গৃহীত টাকা কোথায় এবং কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগকে (বিএফআইইউ) লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসব অর্থ হস্তান্তরের মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা রয়েছে কিনা, সে বিষয়েও প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটিও জানতে চান হাইকোর্ট।
এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যবিধি কী তা জানাতে বলেছেন আদালত।
গত ৮ নভেম্বরের মধ্যে এসব প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদন না আসায় মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ উষ্মা প্রকাশ করেন। আগামী ২৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তি চিহ্নিতকরণ এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অর্থ ফেরতে আশু পদক্ষেপের জন্য নির্দেশনা চেয়ে গ্রাহকদের পক্ষে রিট করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং অ্যডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।