Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
WEDNESDAY, JUNE 29, 2022
WEDNESDAY, JUNE 29, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
ইতিহাসে নিষ্ঠুরতার জন্য বিতর্কিত কাশ্মীরের যে 'ডাইনি' রানি

ফিচার

তামারা ইয়াসমীন তমা
26 January, 2022, 11:30 pm
Last modified: 27 January, 2022, 01:15 pm

Related News

  • কাশ্মীরেই দেখা মিলবে ‘গেম অব থ্রোনস’ এর টিরিয়নের! 
  • যৌতুক নিষিদ্ধ, উল্টো বরপক্ষকেই বহন করতে হয় বিয়ের সব খরচ   
  • মৃত্যুর পর স্বীকৃতি পেল রানি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল গিনেসকে 
  • কাশ্মীরে দমনাভিযানের মুখে পদ্যের পঙক্তিও সংবরণ করতে হচ্ছে কবিদের
  • ছেলের লাশের সন্ধানে ৯ মাস ধরে মাটি খুঁড়ে চলেছেন এক কাশ্মীরি বাবা

ইতিহাসে নিষ্ঠুরতার জন্য বিতর্কিত কাশ্মীরের যে 'ডাইনি' রানি

তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বুদ্ধি, ক্ষমতালিপ্সা ও নির্মমতার জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন রানি দিদ্দা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন এই রানি। মন্ত্রী কিংবা উচ্চপদস্থ কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হলেই হত্যা করতেন। আধিপত্য ধরে রাখতে একে একে হত্যা করেন নিজের তিন নাতিকেও। শোনা যায় তার একাধিক প্রেমিক ছিল। তবে মধ্যবয়সে গিয়ে প্রেমে পড়েন এক মহিষপালক যুবকের। প্রেমিককে তিনি রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিতে পরিণত করেন। গজনির সুলতান মাহমুদকেও রানি দুবার পরাস্ত করেন বলে বিতর্ক আছে।
তামারা ইয়াসমীন তমা
26 January, 2022, 11:30 pm
Last modified: 27 January, 2022, 01:15 pm
কথিত আছে দিদ্দা কাশ্মীরের সবচেয়ে সুন্দরী রানি ছিলেন।

ভারতবর্ষের ইতিহাসে নারী শাসকের সংখ্যা হাতেগোনা। সিংহাসনে বসা সম্রাজ্ঞী বা রানিদের শাসনকালও খুব একটা দীর্ঘ হতো না। তবে হাতেগোনা এই রানিদের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত সম্ভবত কাশ্মীরের রানি দিদ্দা। স্বামীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি কাশ্মীরের শাসনভার সামলান।

তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বুদ্ধি, ক্ষমতালিপ্সা এবং নির্মমতার জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন রানি দিদ্দা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন এই রানি। মন্ত্রী কিংবা উচ্চপদস্থ কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হলেই হত্যা করতেন। এমনকি আধিপত্য ধরে রাখতে একে একে হত্যা করেন নিজের তিন নাতিকেও। শোনা যায় তার একাধিক প্রেমিক ছিল। তবে মধ্যবয়সে গিয়ে প্রেমে পড়েন এক মহিষপালক যুবকের। প্রেমিককে তিনি রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিতে পরিণত করেন।

স্রেফ প্রভাবশালী নারী শাসক ছিলেন বলেই দিদ্দা 'ডাইনি' অপবাদ পেয়েছিলেন কিনা তা বলা মুশকিল। তবে দীর্ঘ সময় শক্তহাতে সিংহাসন ধরে রাখতে যে কূটনৈতিক দক্ষতা তিনি দেখান, তা সমসাময়িক বহু শাসকদের জন্যই ছিল ঈর্ষণীয়।

খোঁড়া ছিলেন বলে বাবার প্রিয় হতে পারেননি রাজকন্যা দিদ্দা

কাশ্মীরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের মিলনস্থল হওয়ায় কাশ্মীর নিয়ে আছে বহু কিংবদন্তী। ১১৪৮ থেকে ১১৪৯ সালের মধ্যে 'রাজতরঙ্গিনী' লিখেন কাশ্মিরী পণ্ডিত কালহানা। সংস্কৃত ভাষায় রচিত এই বইয়ে রাজা ললিতাদিত্যসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজার উপাখ্যান ও ঐতিহাসিক বর্ণনা পাওয়া যায়। রানি দিদ্দার মৃত্যুর দেড়শো বছর পর রাজতরঙ্গিনীতে তার শাসনের বিশদ বিবরণ দেন কালহানা।

রানি দিদ্দাকে বলা হতো কাশ্মীরের ক্যাথারিন। ইতিহাসে ডাইনি রানি হিসেবেও তিনি পরিচিত। কথিত আছে দিদ্দা কাশ্মীরের সবচেয়ে সুন্দরী রানি ছিলেন।

জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ শহরের দক্ষিণে পার্বত্য অঞ্চলের রাজা সিংহরাজের মেয়ে দিদ্দা। সেসময় ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের চেয়ে কাশ্মীরের নারীরা অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাধীনতা ভোগ করত। কিন্তু সিংহরাজের দীর্ঘদিন কোনো পুত্রসন্তান না থাকা সত্ত্বেও দিদ্দাকে উত্তরাধিকার বঞ্চিত করা হয়। রাজতরঙ্গিনীর তথ্য অনুসারে দিদ্দা খোঁড়া ছিলেন। শারীরিক এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই দিদ্দাকে অপছন্দ করতেন বাবা সিংহরাজ।

রাজা ক্ষেমাগুপ্তের সাথে বিয়ে

পার্থগুপ্ত রাজবংশের রাজা ছিলেন ক্ষেমাগুপ্ত। ৯৫০ থেকে ৯৫৮ সাল পর্যন্ত ছিল তার শাসনকাল। ক্ষেমাগুপ্ত ছিলেন বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। মদ, নারী, জুয়া, শিকার আর হৈ-হুল্লোড়েই মেতে থাকতেন তিনি। কিন্তু এসব করে প্রজাদের মন জয় কিংবা সিংহাসন রক্ষা কোনোটাই সম্ভব না। ক্ষমতা পোক্ত করতে তাই তিনি রাজকন্যা দিদ্দাকে বিয়ে করেন।

সিংহরাজ ছিলেন লোহারা রাজবংশের রাজা। অন্যদিকে দিদ্দার মা এসেছিলেন ওহিন্দের সম্ভ্রান্তশালী শাহী বংশ থেকে। আর তাই এই বিয়ে ক্ষেমাকে রাজনৈতিক প্রতিপত্তি বাড়াতে সাহায্য করেছিল।

৯৫০ সালে ২৬ বছর বয়সে ক্ষেমাগুপ্তের সঙ্গে দিদ্দার বিয়ে হয় এবং কাশ্মীরের শ্রীনগরে আসেন রানি দিদ্দা।

ইতিহাসবিদদের অনেকে মনে করেন দিদ্দাকে খোঁড়া বলার মাধ্যমে তার অক্ষমতা বা নৈতিকতার অভাবকে নির্দেশ করা হয়েছে। অনেকের মতে সত্যিকার অর্থেই তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল।

তবে তিনি খোঁড়া ছিলেন বলেই অধিকাংশের মত। দিদ্দা নিজে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করতে পারলেও তাকে সাহায্য করত ভালগা নামের এক নারী। ভালগার নামে পরবর্তীতে দিদ্দা ভালগামঠ নামে মঠও নির্মাণ করেন।

কালহানার বিবরণ অনুসারে, "দৌড়াতে হতো এমন সব খেলায় দিদ্দা অংশ নিলে রানিকে নিজের পিঠে নিয়ে চলতেন ভালগা নামের এক কামিন, যার নামে ভালগামঠ নির্মিত হয়।"

বিয়ের পরেই শুরু আধিপত্য

দিদ্দা কতটা চতুর রাজনীতিবিদ ছিলেন তা ক্ষেমাগুপ্তের সাথে বিয়ের পরেই সামনে আসে। অল্পসময়েই তিনি প্রভাব বিস্তার করেন। এমনকি সাধারণ মানুষও রাজা ক্ষেমাগুপ্তর নামের শুরুতে তার স্ত্রীর নাম যুক্ত করতে সম্বোধন করতে শুরু করে। রাজাকে খাটো করতেই মূলত তাকে 'দিদ্দাক্ষেমা' নামে ডাকা হতো। স্বামীর অযোগ্যতার কারণে দিদ্দাই হয়ে উঠেন রাজ্যের প্রধান শাসক।

তবে রাজা ক্ষেমাগুপ্ত কিন্তু দিদ্দার প্রতি মন্ত্রমুগ্ধ ছিলেন। ইতিহাসে কোনো রানির নামে মুদ্রা থাকার ঘটনা বিরল। কিন্তু দিদ্দার নামে রাজা মুদ্রা প্রচলন করেন।

রানি দিদ্দার নামে প্রচলিত মুদ্রা

মুদ্রাসংগ্রাহকদের কাছে এই মুদ্রা এখনও অমূল্য। একেকটি মুদ্রার মূল্য লক্ষাধিক।

দিদ্দা একইসঙ্গে চতুর, কৌশলী ও নির্মম ছিলেন। মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করতে পারতেন তিনি। 

রাজার সঙ্গে দিদ্দার অভিমন্যু নামের এক পুত্র জন্ম নেয়। ৯৫৮ সালে শিকারে গিয়ে 'লুতা' নামের এক জ্বরে আক্রান্ত হন রাজা ক্ষেমাগুপ্ত। তার মৃত্যুর পর ছেলে অভিমন্যু সিংহাসনে বসেন।

ছেলের হয়ে পান রাজ শাসনভার, শুরু হয় নিষ্ঠুরতা

অভিমন্যু তখনও শিশু থাকায় দিদ্দাই তার অভিভাবক হিসেবে প্রধান শাসকে পরিণত হন। দিদ্দা শাসনকাজে নিজের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এই কাজ এত সহজ ছিল না। ক্ষেমাগুপ্তর বোনের দুই ছেলে মাহিমান ও পাতালার বিরোধিতার মুখে পড়েন দিদ্দা।

মাহিমান ও পাতালা ললিতাদিত্যপুরের ব্রাহ্মণদের সাহায্য নিয়ে দিদ্দার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। যুদ্ধ করতে সৈন্যরা পাম্পোরের মন্দিরে ছুটে আসে।

কিন্তু চতুর দিদ্দা যুদ্ধ না করে ছেলেকে শ্রীনগরের একটি মঠে পাঠান। সেখানে গিয়ে বিদ্রোহী ব্রাহ্মণদের অর্থের লোভ দেখিয়ে হাতে আনেন। ব্রাহ্মণদের অজস্র সোনা দিয়ে দিদ্দা শত্রুপক্ষের জোট ভেঙে দেন।

দিদ্দার বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন তার মন্ত্রী নরবাহন। এই বিদ্রোহের পর দিদ্দা নির্মমভাবে স্বামীর দুই ভাগ্নেসহ বিদ্রোহীদের হত্যা করেন। তবে যারা পরেও কাজে আসতে পারে, তাদের তিনি সেবারের মতো ছেড়ে দেন।

কাহলানার ভাষায়, "যে খোঁড়া রানির গরুর পায়ের ছাপে পা রাখার ক্ষমতা নেই বলে সবাই ভাবত, সেই রানি শত্রুদের এমনভাবে কব্জা করল যেমনভাবে হনুমান সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিল।"

কাহলানা রানি দিদ্দাকে রহস্যময়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে, দিদ্দা অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। এছাড়া তার আশেপাশে অসংখ্য চাটুকার ছিল যারা নিজেদের স্বার্থে তাকে ব্যবহার করত।

দিদ্দার শাসনকালে রাজ্যে অস্থিরতা ছিল। ৯৫০ থেকে ৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি মহারানি ছিলেন, ৯৫৯ থেকে ৯৮০ সাল পর্যন্ত অভিমন্যু ও তার পুত্রদের হয়ে রাজ্য শাসন করেন। অভিমন্যুর শাসনকাল দেখানো হয় ৯৫৮ থেকে ৯৭২ সাল পর্যন্ত। এসময় এক ভয়ঙ্কর দাবানলে বিষ্ণু মন্দির বাজারসহ বহু দালান ধ্বংস হয়।

দিদ্দার নির্মমতা শু্ধু বিদ্রোহীদের হত্যার মধ্যে সীমিত ছিল না। তিনি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করতেন। মন্ত্রী কিংবা উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সন্দেহ হলেই তিনি তাদের মৃতুদণ্ড দিতেন।

নিজের বংশধরদের হত্যা করেন রানি

৯৭২ সালে অভিমন্যুর মৃত্যুর পর তার ছেলে নন্দীগুপ্ত রাজা হন। তবে নাতি নন্দীগুপ্তের সিংহাসনে বসা নিয়ে খুশি ছিলেন না দিদ্দা। কালহানার মতে, কালোজাদুর প্রয়োগ করে ৯৭৩ সালে তিনি নন্দীগুপ্তকে হত্যা করেন। একইবছর তিনি আরেক নাতি ত্রিভুবনকে সিংহাসনে বসালেও ৯৭৫ সালে একইভাবে তাকেও হত্যা করেন।

শেষ অবধি তিনি তার সর্বকনিষ্ট নাতি ভীমগুপ্তকে ৯৭৫ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন।

ভীমগুপ্ত বয়সে তরুণ হলেও চতুর ছিলেন। দাদির ষড়যন্ত্র ও কূটচাল তিনি বুঝতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু রানির ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রী দেব-কলস ভীমগুপ্তের এই সন্দেহের কথা তাকে জানান। দিদ্দা তখনই ভীমগুপ্তকে আটক করেন। রানি দিদ্দা এতটাই ক্ষমতালোভী হয়ে উঠেছিলেন যে নিজের নিরঙ্কুশ আধিপত্য ধরে রাখছে ভীমগুপ্তকেও নির্যাতনের পর হত্যা করেন।

মধ্যবয়সের প্রেম

নিজের পরিবারের সদস্যদের একে একে সরিয়ে দিলেও রানি কিন্তু নিঃসঙ্গ ছিলেন না। এসময় টুঙ্গা নামের একজনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পর্ণোৎসার (পুঞ্চ) বাদ্দিভাসা গ্রামের বানা নামের এক ব্যক্তির ছেলে এই টুঙ্গা। টুঙ্গা প্রথমে মহিষ চড়ানোর কাজ করত। শ্রীনগরে সে চিঠিবাহকের কাজ নিয়ে আসে।

কাহলানার মতে, ইতোমধ্যে দিদ্দার অসংখ্য প্রেমিক থাকলেও তরুণ এই যুবার প্রতি দিদ্দার অগাধ স্নেহ জন্মে।

দিদ্দা এককভাবে পুরো ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠার পর টুঙ্গাকে নিজের প্রধানমন্ত্রীর (সর্বাধিকার) পদ দেন। এর আগের প্রধানমন্ত্রী ফাল্গুনকে রাজা ক্ষেমাগুপ্ত নিজেই নিয়োগ দিয়েছিলেন। ফাল্গুনের ক্ষমতা তখন শীর্ষে। কিন্তু ফাল্গুনকে পছন্দ করতেন না সেনাপতি রাক্কা।

দিদ্দা যে রক্তের স্রোত বইয়ে দিয়েছিল তাতে সরাসরি সাহায্য করত তার এই সেনাপতি। রাক্কাই রানির কাছে প্রধানমন্ত্রীর নামে কান ভারি করেন। প্রধানমন্ত্রী ফাল্গুন ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে তিনি রানিকে উস্কে দেন। আর তাই দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী ফাল্গুনকেও রানি নির্বাসনে পাঠান।

ফাল্গুন নির্বাসনে মারা যাওয়ার পরই নাতিদের হত্যা করতে উদ্দ্যত হন রানি দিদ্দা। ৯৮০ থেকে ১০০৩ খিস্ট্রাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ বছর নিজের একক শাসনকালে দিদ্দা নির্মমভাবে নিজের সকল প্রতিদ্বন্দ্বী, বিদ্রোহী এমনকি তাদের পরিবার-পরিজনকেও নির্মূল করেন। এর বিপরীতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা সব ধরনের দায় থেকে মুক্তি পেতে থাকে।

ধীরে ধীরে টুঙ্গা সকল মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেন। একইসঙ্গে হয়ে উঠেন দিদ্দার মতোই নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অহংকারী। নিজের এবং রানির বিরোধী হিসেবে কারও প্রতি সন্দেহ জন্মালে কঠোর হাতে সেগুলো দমন করতেন টুঙ্গা।

উত্তরাধিকারী করে যান ভাইয়ের ছেলেকে

দিদ্দা সাধারণত উচ্চপদস্থ কাউকেই বিশ্বাস করতেন না। একবার প্রতিবেশি রাজ্যের শাহী বংশের শাসককে পরাস্ত করতে তিনি যশোধর নামের এক যোদ্ধাকে পাঠান।

যশোধর বীরত্বের সাথে যুদ্ধে জয় লাভ করে। যশোধর ভেবেছিল ফিরে এসে সে বীর নায়কের মর্যাদা পাবে। কিন্তু যশোধরের এই জয়ে দিদ্দা নিজেই অনিরাপদ বোধ করেন। আর তাই সে ফেরা মাত্রই যশোধরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে যশোধর গ্রেপ্তার এড়িয়ে গিয়ে সহযোগীদের নিয়ে রানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। কিন্তু দিদ্দার হাতে শেষ অবধি তাদের পরাজয় ঘটে।

১০০৩ সালে মারা যান রানি দিদ্দা।

রানি দিদ্দার মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তার ভাগ্নে সংগ্রামরাজ। জীবদ্দশায় ভাগ্নেকে উত্তরাধিকার মনোনীত করে যান দিদ্দা। সংগ্রামরাজের শাসন থেকে কাশ্মীরে লোহারা রাজবংশের শাসন শুরু। তবে সংগ্রাম দুর্বল শাসক ছিলেন। তার শাসনকালে টুঙ্গা আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে ওঠে। নিজের ভাই নাগাকে দিয়ে টুঙ্গাকে হত্যা করান রাজা সংগ্রামরাজ।

সাম্প্রতিক বিতর্ক

সম্প্রতি কঙ্কনা রানাউত রানি দিদ্দার চরিত্রে অভিনয় করার ঘোষণা দেন। চলচ্চিত্রের কাহিনি অনুযায়ী মাহমুদ গজনবীকে দুবার পরাস্ত করেন রানি দিদ্দা। তবে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ ওয়ানির মতে, রানি দিদ্দার শাসনকালে গজনবী কাশ্মীরে আক্রমণ করেননি।

তার মতে, রানি ১০০৩ সালেই মৃত্যুবরণ করেন এবং এরপর তার ভাগ্নের মাধ্যমে শুরু হয় লোহারা রাজবংশের শাসন। মাহমুদ গজনবী আরও ১০ বছর পরে ১০১৩ সালে কাশ্মীর আক্রমণ করেন।


সূত্র: ফ্রি প্রেস কাশ্মীর, লাইভ হিস্ট্রি ইন্ডিয়া

Related Topics

টপ নিউজ

কাশ্মীর / রানি দিদ্দা / রানি / সম্রাজ্ঞী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আর্থিক দুরবস্থায় অ্যাম্বার হার্ড? শপিং করছেন কম খরচের পোশাকের দোকানে! 
  • ছোট-বড় সব ঋণে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭৫% মরাটরিয়াম
  • ব্যবসা সম্প্রসারণে ৩২৬ মিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণগ্রহণের অনুমোদন পেয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠান
  • পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটকে ভিডিও, সেই যুবক আটক
  • বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী এক লাইব্রেরি—যেখানে কোনো বই নেই, আছে শুধু মানুষ
  • ক্যারিয়ারের শুরুতেই 'টেকো' তকমা, চুল পড়ার যন্ত্রণা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় অক্ষয়কে  

Related News

  • কাশ্মীরেই দেখা মিলবে ‘গেম অব থ্রোনস’ এর টিরিয়নের! 
  • যৌতুক নিষিদ্ধ, উল্টো বরপক্ষকেই বহন করতে হয় বিয়ের সব খরচ   
  • মৃত্যুর পর স্বীকৃতি পেল রানি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল গিনেসকে 
  • কাশ্মীরে দমনাভিযানের মুখে পদ্যের পঙক্তিও সংবরণ করতে হচ্ছে কবিদের
  • ছেলের লাশের সন্ধানে ৯ মাস ধরে মাটি খুঁড়ে চলেছেন এক কাশ্মীরি বাবা

Most Read

1
বিনোদন

আর্থিক দুরবস্থায় অ্যাম্বার হার্ড? শপিং করছেন কম খরচের পোশাকের দোকানে! 

2
অর্থনীতি

ছোট-বড় সব ঋণে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭৫% মরাটরিয়াম

3
অর্থনীতি

ব্যবসা সম্প্রসারণে ৩২৬ মিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণগ্রহণের অনুমোদন পেয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠান

4
বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটকে ভিডিও, সেই যুবক আটক

5
ফিচার

বাংলাদেশের ব্যতিক্রমী এক লাইব্রেরি—যেখানে কোনো বই নেই, আছে শুধু মানুষ

6
বিনোদন

ক্যারিয়ারের শুরুতেই 'টেকো' তকমা, চুল পড়ার যন্ত্রণা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় অক্ষয়কে  

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab